স্টাফ রিপোর্টার, মেমারিঃ করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন মানুষের জীবন এই একমাসে ছোট থেকে বড় এক বেনজীর অভিজ্ঞতা। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে জনগণকে। সরকার, প্রশাসন, স্বাস্থ্যকর্মীর নিরলস পরিশ্রমে এই অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়ে চলেছেন প্রতিদিন। সকলেই জেনে গেছেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একমাত্র অস্ত্র সামাজিক দূরত্ব মেনে গৃহ বন্দী। কিন্তু লকডাউনের ফলে বিভিন্ন সমস্যারও সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষ বুঝলেও বাধ্য হয়েই ঘরেরই বাইরে বাজারে আসছেন। অনেক সময়ই সামাজিক দূরত্ব ইচ্ছা থাকলেও মানতে পারছেন না।
এমতাবস্থায় মেমারি-১ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জীর উদ্যোগে মেমারি পৌরসভা এলাকা ও বাগিলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত যেকোনো জায়গায় বাজার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যুব নেতার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ (9434473725 / 8145458806 / 8945564342/8944081670) নাম্বারে বাজারের ফর্দ পাঠিয়ে দিলে তাদের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীগণ বাজার পৌঁছে যাবে আপনার ঘরে।
এক সামাজিক ভিডিও বার্তায় নিত্যানন্দ ব্যানার্জী বলেছেন যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে প্রতিদিন করোনা যুদ্ধের জন্য সামনে থেকে লড়াই করছেন তা দেখে আমরা অনুপ্রাণিত। মেমারি শহরে আঁচল, মেমারি সম্মিলনী ও মেমারি পৌরসভার উপ-পুরপিতা যেভাবে প্রতিদিন মানুষের পাশে থেকে অন্নদান করে চলেছেন তা অবশ্যই এই কঠিন পরিস্থিতিতে দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক অনন্য নির্দশন। তবে এবার যেহেতু লকডাউন সময়সীমা বৃদ্ধি হয়েছে সেই বুঝে যদি লকডাউনের বিধি মেনে মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া যায় সেটা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক সঠিক পদক্ষেপ হবে বলে মনে হয়। তিনি মেমারি ও বাগিলাবাসীর কাছে আবেদন করেন আপনারা লকডাউনে ঘরে থাকুন, বাজার আমরা পৌঁছে দেবো।
প্রসঙ্গগত উল্লেখ্য লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে যুব কংগ্রেসের সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জীর তত্ত্বাবধানে বাগিলাতে পরিযায়ী শ্রমিকের একটি ক্যাম্পে প্রতিদিন অন্নসেবা করা হয়েছে এবং কিছুদিন আগে প্রশাসনিক সহযোগিতায় তাদের সুরক্ষিত ভাবে বাড়ী পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও তার উদ্যোগে লকডাউন চলাকালীন মেমারিক বাগিলায় প্রথম সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়।