30/10/2024 : 3:48 AM
অন্যান্য

মঙ্গলকোটের জাল পাড়ায় লকডাউনে অব্যাহত সুকুমার মায়ার অন্নকূট

পরাগ জ্যোতি ঘোষ, মঙ্গলকোটঃ মঙ্গলকোটে লকডাউন এর মাঝেই জাল পাড়ার সুকুমার পাল প্রতিদিন এক বেলা আহার জুটিয়ে যাচ্ছেন প্রায় জনা ত্রিশেক অসহায় মানুষের। শ্রী মা শ্রম এর সাথে যুক্ত সুকুমার বাবু একজন সরল সাদাসিধে মানুষ । স্ত্রী মীরা তার যোগ্য সহধর্মিনী। বুদ্ধিমতী ফুটফুটে কন্যা শিউলির অকালপ্রয়াণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আসে গভীর শোক আর সেই সব থেকে নিজেদের বের করার জন্য গভীর ভাবে দুজনে আঁকড়ে ধরেন রামকৃষ্ণ সারদা দেবী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শে সমৃদ্ধ শ্রীমা শ্রম কে। সেখান থেকেই উদয় হয় মানুষের জন্য কিছু করার উদ্যোগ। গ্রামের ধর্মরাজ মন্দির এর পাশে পুরনো প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে শুরু করেন অসহায় মানুষদের জন্য একবেলা ভোজনের ব্যবস্থা ।সম্পূর্ণ নিরামিষ পদ দিয়ে শুদ্ধ আহার এর ব্যবস্থা ।তার এই মহতী কাজে উৎসাহিত হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন ঈশান বাসু পুতুলেরা। তারা রান্নার কাজে এবং পরিবেশনের কাজে অংশগ্রহণ করেন। এখানকার এক বেলা আহার পেয়ে খুশি হয়ে আছেন প্রসাদ পাল চাঁদ ঘোষ নাড়ু দাস কালীচরণ দাস মন্দিরা পাল প্রমুখ। অসহায় এইসব মানুষরা এক বেলা পেট পুরে খান ভাত ডাল সয়াবিন সবজি ও টক। তারা দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেন সুকুমার বাবু ও মিরা দেবীকে । স্বজনহীন এইসব অসহায় মানুষ এই দম্পতির কাছে চির কৃতজ্ঞ। চাষবাসের আয় থেকেই সমস্ত খরচ বহন করেন সুকুমার বাবু। তাছাড়াও অনেক সময় তাদের পোশাক ও দান করেন তারা। এই লকডাউন এর সময়ও তাদের কর্মযজ্ঞের কোন ছেদ পড়েনি। কন্যাব় শূন্যস্থান পূরণ করে দিয়েছে এইসব অসহায় মানুষগুলোর মুখ। মীরা দেবী আজ সকলের মা হয়ে গেছেন আর সুকুমার বাবু আজ হয়ে উঠেছেন গরিবের ভগবান ।তিনি চান পাশাপাশি গ্রামগুলোতেও অন্নকূট এর বিস্তার ।কিন্ত সাধ্ থাকলেও কুলায় না। তাই তার এই মহান ব্রতে যদি মহৎ মানুষরা বা সরকার সাহা য্যের হাত বাড়িয়ে দেন সুকুমার মায়ার সংসার টা আরও বেড়ে যাবে। বেঁচে যেতে পারে আরো অনেক দুস্থ অসহায় মানুষের প্রাণ।

Related posts

গল্প – উপলব্ধি | সুতপা দত্ত

E Zero Point

লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মেমারিতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি-র প্রশাসনিক বৈঠক

E Zero Point

ভারতের কাছেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চাইল পাকিস্তান

E Zero Point

মতামত দিন