সেখ নিজাম আলমঃ আজ পূর্ব বর্ধমানের গলসি-২ এর ভুঁড়ি অঞ্চলের কুমারপুর গ্রামের প্রবীণ প্রাক্তন পার্টি কর্মী বিশ্বনাথ ঘোষ প্রয়াত। তাঁর আজ প্রয়ানে সিপিআইএম গলসি-২ এড়িয়া কমিটি ও কৃষক সভা গলসি-২ ব্লক কমিটি গভীর শোক প্রকাশ করে পরিবারেরর প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
সংবাদ সূত্রে জানা যায় যে, দীর্ঘ রোগ ভোগের পর আজ রাত্রি ২-৩০ মিনিটে ভুঁড়ি অঞ্চলের কুমারপুর গ্ৰামে নিজ বাসভবনে পার্টি দরদী পূর্বতন কৃষক আন্দোলনের নেতা কমরেড বিশ্বনাথ ঘোষ প্রয়াত হলেন। মৃত্যুকালে রেখে গেলেন স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যা কে।
১৯৭২ – ৭৭ সাল যখন গোটা রাজ্যে দুর্বার গতিতে কৃষক আন্দোলন চলছে তখন বামপন্থী কৃষক নেতা গনেশ চৌধুরী, শংকর ব্যানার্জি, আব্দুল রাজ্জাক মন্ডল এর মতো নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন তিনি। ১৯৮২ সালে পার্টি সদস্য লাভ করেন। অসুস্থতার কারণে পার্টির সদস্য পদ পুনর্নবীকরণ করাতে পারেন নি। কিন্তু সব সময় পার্টির নেতাকর্মীদের ডেকে পার্টির পরিস্থিতি জানতে চেয়েছেন ও সুপরামর্শ দিয়েছেন। মৃত্যুর খবর শুনেই এরিয়া কমিটির সদস্য সাইফুল হক, সুকুমার দাস, সেখ আতিয়ার, পুস্প দে প্রয়াত বামপন্থী নেতার বাড়িতে পৌঁছে যান। সেখানে তার পার্থিবদেহ কৃষকসভার পতাকা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। উপস্থিত বামপন্থী নেতা ও কর্মীরা একে একে মরদেহে পুস্পার্ঘ অর্পণ করেন।
মৃত্যুর খবর শুনে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সারা ভারত কৃষক সভার জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন, ক্ষেতমজুর আন্দোলনের জেলা নেতা সাইদুল হক ও কাজী জাফর আলী।
প্রক্তান সাংসদ সাইদুল হক সাংবাদিকদের সাথে বার্তালাপে প্রয়াত বিশ্বনাথ ঘোষের সাথে তার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে জানালেন যে, তিনি ১৯৯৫ সালে জোনালের পক্ষে গলসী ৩ নং এল সি দেখভালের দায়িত্বে আসেন, তখন বিশুদা (প্রয়াত বিশ্বনাথ ঘোষের) শ্যামসুন্দরপুর (তিরিঙ্গী) শাখার সদস্য ছিলেন। ১৯৯৮ সাল নাগাদ শাখা ভাগ হলে কুমার শাখার পার্টি সদস্য হন। ঐ শাখার উদ্বাস্তু প্রধান এলাকায় তখন নানা ধরনের সমস্যা চলছিল। ফলে শংকরদা পরিমলদাকে নিয়ে ঐ শাখায় প্রায় প্রতি মাসেই বসতে হতো। বিশুদা একটু রাগী হলেও চট করে বুঝতে পারতেন কি করতে হবে। কথা কম বলতেন। তবে মুখের উপর স্পষ্ট ভাবে বলতেন। উনার বাড়ীতে ঐ গ্রামের সুনীলের বাইকে কয়েকবার গেছি। যতদুর মনে পড়ছে উনি কৃষক আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন ১৯৬৯-৭০ সাল নাগাদ। বাড়ী সদরের বেলকাশ লাগোয়া হওয়ায় মদনদা, গনেশদার, সাথে কাজ করেছেন। ১৯৭২-৭৭ সালে আধা ফাস্তিত সন্ত্রাসের সময় তিরিঙ্গি ভেপুর মেরুয়াল এলাকায় শংকরদার পাশে থেকে কৃষক সভার কাজ করেছেন। পার্টিতে আসেন ১৯৭৭ সালের পরে। বিগত কয়েক বছর খুবই অসুস্থ ছিলেন।পার্টী কর্মী সুকুমারের কাছে খবর নিতাম। জাঁহাপুরে একবার দেখাও হয়েছিল।