বিশেষ প্রতিনিধি, দিল্লীঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে আজ এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে প্রতিষেধক তৈরির পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির বিষয়গুলি পর্যালোচনা করা হয়। কবে এই প্রতিষেধক তৈরি করা যাবে তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী মনে করেন,ভারতের মতো বিশাল ও বৈচিত্র্যপূর্ণ জনসংখ্যার একটি দেশে প্রতিষেধক সরবরাহে ক্ষেত্রে অনেকগুলি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। এরমধ্যে ওষুধ সরবরাহ শৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার, বেসরকারী ক্ষেত্র সহ এই প্রক্রিয়ায় জড়িত সমস্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং নাগরিক সমাজের ভূমিকার অন্তর্ভুক্তির মত বিষয়গুলি রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এই ধরণের জাতীয় প্রচেষ্টায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। প্রথমত, দূর্বল উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ লোকেদের তাৎক্ষণিক প্রতিষেধক প্রদানের জন্য চিহ্নিত করা এবং তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া। উদাহরণ স্বরূপ, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী সহ সমনের সারির করোনা যোদ্ধা এবং সাধারণভাবে দূর্বল মানুষদের এই প্রতিষেধক দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। দ্বিতীয়ত, যে কেউ যে কোনো জায়গায় কোনো শর্ত ছাড়াই প্রতিষেধক পেতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়া উচিত নয়। তৃতীয়ত, প্রতিষেধকটির দাম যুক্তিসঙ্গত হতে হবে এবং সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ হওয়া উচিত। কাউকেই এই প্রতিষেধক থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। চতুর্থত প্রতিষেধক উপাদন থেকে প্রতিষেধক প্রদান এই সমস্ত প্রক্রিয়াতে প্রযুক্তি ভিত্তিক ২৪ ঘন্টার নজরদারি ব্যবস্থাপনা থাকা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের একটি বিস্তৃত পদ্ধতিতে বর্তমানে ব্যবহৃত প্রযুক্তির বিকল্পগুলি মূল্যায়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, এতে সকলকে সবচেয়ে ভালভাবে এবং সময়মত প্রতিষেধক প্রদান করা সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী এ জাতীয় প্রতিষেধক প্রয়োগের জন্য অবিলম্বে বিশদ পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আলোচনায় প্রতিষেধক তৈরির বর্তমান অবস্থাও পর্যালোচনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯এর বিরুদ্ধে প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য ভারতের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন।