জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, দিল্লী, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০:
ইলেক্ট্রিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার মহারাষ্ট্র, গোয়া, গুজরাট এবং চণ্ডীগড়ের জন্য ৬৭০টি ইলেক্ট্রিক বাস তথা ‘ফেম ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরল, গুজরাট ও পোর্ট ব্লেয়ারে ২৪১টি চার্জিং স্টেশন স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে।
একগুচ্ছ ট্যুইটে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, এই সিদ্ধান্ত থেকে এটা প্রতিফলিত হয় যে সরকার জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং যানবাহনের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ হ্রাস করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ-বান্ধব গণ-পরিবহণ ব্যবস্থার যে পরিকল্পনা করেছেন, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশে ইলেক্ট্রিক / হাইব্রিড যানবাহনের ব্যবহার ও পরিষেবা বাড়াতে ২০১৫-র এপ্রিল থেকে ভারী শিল্প দপ্তর বৈদ্যুতিন যানবাহনের উৎপাদন ও সেগুলির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এই প্রেক্ষিতে ‘ফেম’ কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে ২০১৯-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত ২ লক্ষ ৮০ হাজারের বেশি ইলেক্ট্রিক ও হাইব্রিড যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য প্রায় ৩৫৯ কোটি টাকা উৎসাহভাতা দেওয়া হয়েছে। ভারী শিল্প দপ্তর দেশের বিভিন্ন শহরে ৪২৫টি ইলেক্ট্রিক ও হাইব্রিড বাস পরিষেবার জন্য অনুমোদন করেছে এবং এই খাতে ২৮০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এছাড়াও, ভারী শিল্প দপ্তর ‘ফেম ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ের আওতায় ব্যাঙ্গালোর, চণ্ডীগড়, জয়পুর এবং দিল্লির জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে প্রায় ৪৩ কোটি টাকার বিনিময়ে ৫২০টি চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলার অনুমতি দিয়েছে।
বর্তমানে গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে তিন বছরের মেয়াদে ‘ফেম ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায় রূপায়িত হচ্ছে। এই পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণে ১০ হাজার কোটি টাকার বাজেট সহায়তা মঞ্জুর করা হয়েছে।
‘ফেম ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে সরকারি ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ইলেক্ট্রিক যানবাহনের ব্যবহার ও পরিষেবা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এমনকি, প্রায় ৭ হাজারটি ইলেক্ট্রিক বাস, ৫ লক্ষ ই-তিনচাকার যান, ৫৫ হাজার ই-চারচাকার যাত্রীবাহী যান এবং ১০ লক্ষ ই-দু’চাকার যানের ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেবল ইলেক্ট্রিক বা হাইব্রিড যানবাহনের ব্যবহার ও পরিষেবা বৃদ্ধিই নয়, সেইসঙ্গে এ ধরনের যানবাহনগুলির ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্যও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ চলছে।