জিরো পয়েন্ট বিশেষ প্রতিবেদন, ৩০ জুলাই ২০২৪ :
পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির অরুণ কান্তি পাল, যিনি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে তবলার প্রতি নিবেদিত প্রাণ । তাঁর ৪৩ বছরের শ্রম ও সাধনায় গ্রাম বাংলার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে তবলার প্রতি আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছেন। গ্রাম বাংলার কৃষ্টিও সাংস্কৃতির সাথে একাত্ম হয়ে তিনি তবলা শিক্ষা বিস্তারের মহান ব্রত গ্রহণ করেছেন। তার প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ছন্দম তবলা একাডেমী যা আজ তবলা শিক্ষা এক মাইলফলক।
ছন্দম তবলা একাডেমীতে ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে তবলার প্রশিক্ষণ নিয়ে শিক্ষার আলো পায়। অরুণ কান্তি পালের তবলা বাজনোর সুর ও ছন্দে মুগ্ধ হয়েছে অসংখ্য মানুষ। তিনি প্রমাণ করেছেন যে গ্রামের প্রেক্ষাপট থেকে উঠে আসা একজন শিল্পী ও বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে মানুষের হৃদয় জয় করতে পারে। ভারতবর্ষের সাংস্কৃতির মানচিত্রে এ যেন এক নজিরবিহীন ঘটনা।
অরুণ কান্তি পালের তবলা শিক্ষার যাত্রা শুরু হয় প্রথম গুরু বিনয় কৃষ্ণ ঘোষ ও ননীগোপাল কোলে। পরে কলকাতার বিখ্যাত ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তবলাবাদক পন্ডিত সুজিত সাহা কাছ থেকে ৪০ বছর ধরে তবলার নানা কলা ও কৌশল শিখেছেন।
তিনি বলেন এক স্বপ্নের কথা গ্রাম বাংলার মানুষকে আর কলকাতায় এসে তবলা শেখার প্রয়োজন হবে না। গ্রামের মধ্যেই তাদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা তিনি করে দিয়েছেন।
সম্প্রতি মেমারি শহরে রথযাত্রার পবিত্র দিনে অরুনকান্তি পালের উদ্যোগে ও পরিচালনায় আয়োজিত হয় এক তবলা কর্মশালা। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তবলা শিল্পী ও স্বর্ণপদক প্রাপ্ত তরুণ কান্তি পাল মহাশয় এই কর্মশালার সঞ্চালক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। সুবিশাল অভিজ্ঞতার আলোকে তরুণ ও নবীন তবলা বাদকদের মাঝে ছন্দের রচনা করলেন তিনি। এই কর্মশালার তাঁর উপস্থিতি ওর শিক্ষা দান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নতুন আশা ও উদ্দীপনা সঞ্চারিত করেছে। অরুনকান্তি পালের তবলার ছন্দময় কর্মশালা সত্যিই এক সোনালী অধ্যায় হিসাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে তাঁর অনুপ্রেরণায় আগামীর তবলা বাদকরা নতুন দিগন্তে পা বাড়াবে একথা বলা যায়।