25/04/2024 : 1:17 PM
ই-ম্যাগাজিনসাহিত্য

e-জিরো পয়েন্ট – আষাঢ় ১৪২৭ (আষাঢ়ে ভূতের  আড্ডা)

ছড়া


হাতির ভূত ‘ভূতি’

✒ ডঃ রমলা মুখার্জী
পুঁচে নামের পুচকে এক মামদো ভূতের ছানা,
চিড়িয়াখানা যাবে বলে তুলল ভারি বাহানা।
কি করবে মামদো ভূত ভেবে সারা হয়,
মামদো-বৌ ভেবে ভেবে বার করে এক উপায়।
হাতি ভূতকে গিয়ে বলে,” ভূতি মেরে সাথী,
চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাও, পুঁচে দেখবে হাতি।
বায়না ভারি দেখবে পাখি, হরিণ, বাঘ, ভাল্লুক,
দেখবে জেব্রা, জিরাফ, সিংহ, আর  দেখবে উল্লুক।”
ভূতি বলে,”উল্লুকটা কে রে, ওরে মামদো ভূতো?”
পেত্নী বলে,”শুনেছি নাকি স্বরটা মানুষের মতো”।
উল্লুক দেখতে চলল ভূতি পুঁচেকে পিঠে চাপিয়ে –
এক নিমেষেই মুল্লুকেতে ভূতি গেল পৌঁছিয়ে।
পুঁচের আনন্দ ধরে না জন্তু দেখে হরেকরকম –
অবাক বনে দেখে শুনে পাখিদের রকমসকম।
 উল্লুকের ডাক শুনে ভূতি ভাবল আজব মানুষ !
ভয় পেয়ে উড়ল শূণ্যে, যেন এক বেঢপ ফানুস!
সবাই দেখে শূণ্যে এক উড়ছে মস্ত হাতি-
তার পিঠে চেপে আছে ছোট্ট এক সারথী।
মানুষের ছানাগুলো ভাবল সুপার শক্তি-হাতি-
বাপ-মায়েরা ছানা নিয়ে ভয়ে পালালো গুটি গুটি।♦

ভূতের বিয়ে

✒ সুশান্ত পাড়ুই
মামদো ভূতের ঠাকুরদাদার
              মামাতো ভাইয়ের
                   বিয়ে,
ঢ্যাং কুরাকুর ঢ্যাং কুরাকুর
              ছাউনি নাড়া
                   দিয়ে।
কট্ কটাকট. কটাং কটাং
            শুটকি মাছের
                 ঝোল,
 হাড় হাভাতে. তেতুল ভাতে
              বট ঝুরিতে
                  দোল।
দুম দুমাদুম দুদুম দুদুম
           বাজছে টিনের
                ঢাঁক,
দত্যি দানব ডাক ডাকিনী
             রক্ষ যক্ষ
                ঝাঁক।
গাঁয়ের সবার খেতে যাবার
                নেমনতন্য
                     চল্,
ঠক্ ঠকাঠক ঠকাং ঠকাং
              কে যাবি তুই
                   বল্।♦
◆এই সংখ্যাটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য করুন নীচের কমেন্ট বক্সে।◆

Related posts

দৈনিক কবিতাঃ প্রকৃত বন্ধু

E Zero Point

কবিতঃ জম্পেস জামাই

E Zero Point

জিরো পয়েন্ট রবিবারের আড্ডা ~ সুব্রত চক্রবর্তী | মনোজ কুমার রায় | মুহাম্মদ ইসমাইল | নির্মাল্য পাণ্ডে | অর্পিতা চ্যাটার্জ্জী

E Zero Point

1 টি মন্তব্য

আব্দুল হিল শেখ June 21, 2020 at 8:05 am

অসাধারণ লাগলো। ভালো থাকবেন সকলে।

উত্তর

মতামত দিন