কবিতা
মুখুজ্জে মাষ্টার
ফাল্গুনী দে
সমর্পণ রেখেছো গভীরে পাথরে জলে
নদীর অতল শরীরে
ডাকছে দূর দেশ বাদাবন ঘাটশিলা
এসো সুবর্ণরেখা তীরে
মুখুজ্জে মাষ্টার বেঁটে খাটো চেনা লোক
সাঁওতাল মেয়ে জানে
বেলা পড়ে এলে নদীপাড়ে শাকভাত টুকু
সেই বয়ে আনে
অন্যরা জানে ভবঘুরে লোক, কেন অহেতুক
নদী চরে চরে ঘোরে
তুমি অবলীলায় রেখেছো হাত মরা নদীর সংসারে
বিপদের দিনে আদরে
তোমার নৈঋত ইশারায় রঙ্গীত পূর্বে অথবা
ডিহং ছুটেছে পশ্চিম
তুমি ভুলেছো সংসার পেছনে, সামনে প্রেয়সী
ভূগোল অনন্ত আদিম
দূর আকাশে অনির্বাণ নক্ষত্র পুরুষ
ভেসে আছো মহাশূন্যে
আমরা ভরে নিলাম ভূগোল সংসার
মহাবেদনার পরিপূর্ণে।♦
চিরঋণী
সুনয় কুমার পাল
শিক্ষকের শিক্ষার ঋণ
শোধ হবে না কোন দিন
জন্ম জন্মান্তরে করিলে সাধনা
এমন শিক্ষা গুরু আর পাবে না।
আমার শিক্ষকের কথা বলবো কত
বলি যদি বছর শত
তবু না ফুরায় গুরুর বর্ণনা।
শৈশবের শিক্ষায় মা হয় প্রথম গুরু
পাঠশালার শিক্ষা, শিক্ষক করেন শুরু
কেমনে ভোলা যায় শিক্ষকের প্রেরণা
জন্ম জন্মান্তরে তাদের ভুলো না।
এমন গুরু আর কখন পাবে না।
প্রথম কক্ষে পদার্পন
শিক্ষা লাভ কর দিয়ে মন।
এ শিক্ষার হয় না কোন তুলনা
জন্ম জন্মান্তরে শিক্ষককে ভুলো না।
জাতির ভবিষ্যৎ হবে বলে
শিক্ষক নেবে কোলে তুলে
সে আনন্দের কথা আর ভোলা যাবে না
জন্ম জন্মান্তরে গুরুকে ভুলে যেও না।
শিক্ষকের শিক্ষার ঋণ
শোধ হবে না কোন দিন
জন্ম জন্মান্তরে করিলে সাধনা
এমন গুরু আর কখনও পাবে না।♦
শোধ হবে না কোন দিন
জন্ম জন্মান্তরে করিলে সাধনা
এমন শিক্ষা গুরু আর পাবে না।
আমার শিক্ষকের কথা বলবো কত
বলি যদি বছর শত
তবু না ফুরায় গুরুর বর্ণনা।
শৈশবের শিক্ষায় মা হয় প্রথম গুরু
পাঠশালার শিক্ষা, শিক্ষক করেন শুরু
কেমনে ভোলা যায় শিক্ষকের প্রেরণা
জন্ম জন্মান্তরে তাদের ভুলো না।
এমন গুরু আর কখন পাবে না।
প্রথম কক্ষে পদার্পন
শিক্ষা লাভ কর দিয়ে মন।
এ শিক্ষার হয় না কোন তুলনা
জন্ম জন্মান্তরে শিক্ষককে ভুলো না।
জাতির ভবিষ্যৎ হবে বলে
শিক্ষক নেবে কোলে তুলে
সে আনন্দের কথা আর ভোলা যাবে না
জন্ম জন্মান্তরে গুরুকে ভুলে যেও না।
শিক্ষকের শিক্ষার ঋণ
শোধ হবে না কোন দিন
জন্ম জন্মান্তরে করিলে সাধনা
এমন গুরু আর কখনও পাবে না।♦